কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ‘সি সেইফ লাইফ গার্ড’ সদস্যদের ফোল্ডেবল স্ট্রেচার হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মোঃ জিললুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী।
তিনি বলেন, পর্যটন বাদ দিয়ে কোন কিছুই না। নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন এমন সংবাদ করা যাবে না। হোটেল কর্মকর্তা, টমটম চালক, কিটকট ব্যবসায়ীসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুল ইসলাম, প্রথম আলোর কক্সবাজার অফিস প্রধান আবদুল কুদ্দুস রানা, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মীজানুজ্জামান, ইন্সপেক্টর গাজি মিজানুর রহমান, চ্যানেল আই কক্সবাজার প্রতিনিধি সরওয়ার আজম মানিক, সি সেইফ লাইফ গার্ডের ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ, কলাতলী-মেরিন ড্রাইভ সড়ক হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মতৎপরতার বিস্তারিত তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোঃ জিললুর রহমান বলেন, পর্যটনের উন্নয়নে সবার পজিটিভ মানসিকতা লালন করা উচিত। পর্যটনের ক্ষতি মানে সবার ক্ষতি। ট্যুরিস্ট পুলিশ ও ট্যুরিজম খাতে জড়িত সবার সাথে সমন্বয় রেখে আমরা কাজ করছি।
আইনগত কঠোরতার বিধি ও নিজেদের সক্ষমতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন,
ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের একটি ইউনিট। ট্যুরিস্ট পুলিশের সকল সদস্য বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক নিয়োগকৃত। বাংলাদেশ পুলিশ যে সকল কাজ করে, ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরাও সেসকল কাজ করতে পারবে। কেউ অপরাধ করে পার পাবে না।
পর্যটন এলাকায় নিয়মিত তৎপরতার পাশাপাশি অবাধে গরু বিচরণের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলে ইঙ্গিত দেন পুলিশ সুপার মোঃ জিললুর রহমান।
উল্লেখ্য, ট্যুরিস্ট পুলিশের মাধ্যমে সি সেইফ লাইফ গার্ড সদস্যদের জন্য ফোল্ডেবল স্ট্রেচারে আর্থিক সহায়তা করেছে নাভানা গ্রুপ।
পাঠকের মতামত